কষ্টের কাছে ঋণী

নিঃসঙ্গ জীবনের মাঝে ইদানিং একটা সঙ্গ অনুভব করি।
যদিও তাকে প্রশ্রয় দিতে চাই না
তারপরও সে আপ্রাণ চেষ্টা করে আমার সাথে ছায়ার মত লেগে থাকতে।
কাউকে অন্ধের মত ভালোবাসলে যেমনটা কেউ করে থাকে।
আমি ওকে যতই দূরে ছুড়ে ফেলতে চাই-
ও চলে আসে আরো কাছে।
মিশে যেতে চায় মনের গভীর থেকে আরো গভীরে,
জানিনা আমার প্রতি ওর এই টান কি করে হলো।

সবাইকে দেখি ভালোবাসে কাছে আসে সুখের মূহুর্তে
আর ওকে আমি বেশি কাছে পাই দুঃখের সময়টাতে।
ওর এই এক তরফা ভালোবাসা দেখে মাঝে মধ্যে ভাবনা জাগে
ওকে বোধহয় আসলেই ভালোবাসা উচিত।
তবুও ওকে ভালোবাসা হয়না।
ওকে মেনে নিতে কেন যেন আমার খুব ভয় করে
তাই ভালোবাসবো বাসবো করে আজও ভালোবাসতে পারিনি-
‘কষ্ট’ নামের এই ভালোবাসার আধারটাকে।
আমার মনের সব দরজা-জানালা আর ফাঁক ফোকর দিয়ে
ও আমার কাছে আসে; পাশে থাকে সব সময়।
প্রিয়দের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা থাকলেও
হয়তো এতটা টান নেই যতটা আমার প্রতি ওর আছে।
ওর মত এমনি করে আর কেউ আমার পাশে থাকেনা,
আমি প্রতিনিয়তই বিমোহিত হচ্ছি ওর নিবীড় ভালোবাসার টানে।

আমি মানুষটা আর যা হই অন্তত কৃতঘ্ন নই
তাই অকপটে কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করি-
‘কষ্টে’র এই অসীম ভালোবাসার কাছে আমি চিরঋণী।

(জুন-২০১১)