দম ফুরাইলে ঠুস

'যুগের হাওয়ায় জগতী রূপায়' কথাটার সাথে পরিচিত নন এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত অতি কম বলেই মানুষ এখন ভোগ বিলাসীতা আর রঙ তামাশায় বিভোর। সেই সাথে প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষারও শেষ নেই। যার যত কিছুই থাকুক না কেন সে আরও চায়। দিন যত যাচ্ছে মানুষ ততই রঙিন রঙিন স্বপ্ন দেখছে। আরাম আয়েশের উপযোগগুলোকে যেন হাতের মুঠোয় রাখতে চায়। কোথাও কোথাও অট্টালিকার ছাদের উপর ছাদ বাড়ছে আবার কোথাও ক্ষুধার্ত পেটে এক মুঠো অন্নও পড়ছে না। ঐ সমস্ত অনাহারীদের দিকে নজর দেয়ার সময় নেই তেমন কারো। সবাই নিজের রঙিন জীবন সাজাতে ব্যস্ত। জীবনটাকে আনন্দময় করে তোলাই বোধ হয় বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য।

এই আনন্দ এই আয়েশ কত দিন? যতদিন নিশ্বাস সচল থাকবে ততদিন এই আয়োজন ভোগ করা যাবে। নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে সবকিছু শেষ; কোনোকিছু আর কাজে আসবে না। অথচ মৃত্যুর পরেই আছে অনন্তকালীন এক জীবন, যে জীবনে প্রবেশ করতে হলে দম ফুরানোর আগেই প্রস্তুতি নিতে হয়। কিন্তু আমরা ক'জনই বা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি; সবাই বর্তমান নিয়ে ব্যস্ত। পরকালের অনন্ত সময়ে কি উপায় হবে সেটা না ভেবে এই দু'দিনের জীবনে কি উপায় হবে সেই ভাবনায় সকলে অস্থির।

মানুষ জন্ম থেকে পর্যন্ত যে জীবনটা পায় এটা কতইবা দীর্ঘ হতে পারে? বড়জোর আশি কী নব্বই বছর, কিংবা হলোই বা তারও বেশি। এটা কি আর বড় সময় হল? পরকালীন জীবনের তুলনায় এটা তো অতি সামান্য সময়। তাও আবার অনিশ্চিত। যে কোনো সময় মৃত্যু নামক প্রলয় এসে সবকিছুকে লন্ডভন্ড করে দিতে পারে। আর যখনই মৃত্যু এসে যাবে তখনই সব দুয়ার বন্ধ। পরকালকে শান্তির স্থান বানানোর সব পথ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু মানুষের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। শুধু খেয়াল নেই তা নয়, মানুষ এখন তার প্রতি বিশ্বাসও হারিয়ে ফেলছে। কিছু কিছু মানুষের ধারণা হলো- জীবনটাকে উপভোগ করতে না পারলে জীবনের পূর্ণতা আসে না। মৃত্যুই সমস্ত কিছুর অবসান ঘটাবে এখানেই তাদের সকল বিশ্বাসের সমাপ্তি। আসলে কি তাই? মৃত্যুর পরে কি কিছু নেই? প্রসঙ্গটা ঠিক এখান থেকে দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। জীবনের আয়ুকে কেন্দ্র করে দু'ধরনের মানুষেরা দু'ভাবে বিচার করে। এই দুটো ভাগকে দুটো মতবাদও বলা যেতে পারে। প্রথম মতবাদে যারা বিশ্বাসী তারা বলে- দু'দিনের এই জীবনে হাসি-গানে ফুর্তি করে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। জীবনটার মানেই যেন আনন্দ উপভোগ করা। যেন মনের মত করে উপভোগ করতে না পারলে জন্মের সার্থকতা নেই। শারীরিকভাবে কিভাবে আরামে থাকা যাবে, শান্তিতে থাকা যাবে তারা সেই সুযোগ খোঁজে। কোনো বাঁধা-নিষেধ তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইচ্ছামত ঘুরবে, বেড়াবে, মন যেদিকে টানে সেদিকে যাবে। কোনো নির্দিষ্ট সীমা বা নীতির মধ্যে চলে না। নিজের জীবন নিজের ইচ্ছেমত চালাতে চায়। তারা মনে করে যতদিন বাঁচবো আনন্দের সাথে বাঁচবো, তাই সেটা যেভাবেই হোক।

এই নীতিতে বিশ্বাসী মানুষদের আবার দুটো ভাগ আছে। একদল হলো বংশগতভাবে মুসলমান। বাপ-দাদারা মুসলমান ছিল তাই মুসলমান। ধর্মীয় বিধি নিষেধ যা থাকুক না কেন তা মানামানি নেই। অথচ ঈদ এলেই এদেরকে দেখা যায় জমজমাট কেনাকাটা, সাজগোজের মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে। রোযা-নামাজ কোথায় গেলো তা দেখাদেখি নেই, ঈদ পালন করতেই হবে। পক্ষান্তরে রাসূল (স.) ঈদের খুশি তাদেরকেই দিয়েছেন, যারা এক মাস কষ্ট করে রোযা রাখে। ঐ সমস্ত লোকেরা জানে না যে, মুসলিম নাম থাকলে বা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলে মুসল হওয়া যায় না। অন্যান্য ধর্মে বংশগতভাবে সেই ধর্মের অনুসারী হওয়া গেলেও ইসলামে সেরকম কোনো নিয়ম নেই। সেই ব্যক্তিই মুসলমান- যে নিজে ইসলামের আইন-কানুন মেনে চলে।

এই পক্ষের অপর দলটা একটু অন্যরকম। এরা কোনো ধর্মের সাতেপাচে নেই। এদের বিশ্বাস প্রাকৃতিকভাবে মানুষের জন্ম। অর্থাৎ তারা বস্তুবাদে বিশ্বাসী। মানুষ কোনো একভাবে এসেছিল, কোনো একভাবে চলে যাবে। আগে বা পরে কিছু নেই। প্রকৃতপক্ষে এদের মতবাদ সামাজিকতা নষ্ট করে। দিন দিন এ ধরনের মানুষদের সংখ্যা বাড়ছে। এরা ধর্মকে না বুঝে নিজের মত করে জীবন কাটায়। এমনকি মুক্তচিন্তা করতে গিয়ে শালীনতাটুকু বিবেক থেকে মুছে ফেলে। এ দু'দলের বিশ্বাস এমনই, নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে সবকিছু শেষ হয়ে যাবে, সুতরাং মনের সাধ না মিটিয়ে যাওয়াই বোকামী হবে। এদের নীতি সামান্য একটু পার্থক্য হলেও এদের বিশ্বাস একই- দম ফুরানোর পর পরই সব ধরনের চাওয়া-পাওয়ার সমাপ্তি ঘটবে অর্থাৎ মানুষের সমস্ত অস্তিত্ব মৃত্যুতে বিলীন হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় মতবাদে যারা বিশ্বাসী তাদের কথা এমন- দু'দিনের এই ক্ষুদ্র জীবনটা রঙে ঢঙে কাটানোর অবকাশ নেই। কখন মৃত্যু হয় বলা যায় না, মৃত্যু হলেই আমার দুনিয়ার জীবন শেষ হয়ে যাবে আর আখিরাতের জীবন শুরু হবে। মৃত্যুর পূর্বে যদি আমি আমলনামায় পুণ্যের ঝুলি বাড়াতে না পারি তবে সব বরবাদ। সামনে যে অনন্ত পথ রয়েছে তার তুলনায় এই জীবন নেহায়েত অতি ক্ষুদ্র। সেই সীমাহীন সময়ের সুখের কথা না ভেবে জাগতিক জীবনের এই ছোট্ট সময়কে প্রাধান্য দেয়া অত্যন্ত বুদ্ধিহীনতা। ইসলাম কর্তৃক যে দায়িত্ব আমাদের উপর অর্পিত হয়েছে আমরা যদি সেগুলো মেনে চলি তবেই আখিরাতে আমরা তার ফল পাব। আর যদি নিজের ইচ্ছেমত কাজ করি তাহলে তার ফল পাওয়া যাবে যতদিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকবো ততদিন। মৃত্যুর ওপারের জীবনে এ কাজের কোনো উপকারিতা পাব না বরং অপকারিতা পাব, যদি সেটা ইসলাম বিরোধী হয়ে থাক। আমাদের সেই করা উচিত যার ফল আখিরাত জীবনকে সুখকর করে গড়ে তুলতে সক্ষম।

ভিন্ন মতবাদে বিশ্বাসীরা বলে মৃত্যু সব কিছুরই ইতি টেনে আনে, আর ইসলাম বলে মৃত্যু পার্থিব জীবনের ইতি টানে আর আখিরাত জীবন শুরু করে দেয়। আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, মৃত্যুর পরেও আমাদের আরেক জীবন আছে এ কথা সম্পূর্ণভাবে সত্য। পার্থিব জীবনের সমস্ত কিছুর হিসাব-নিকাশ করা হবে আখিরাত জীবনে। পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ঘোষণা দিয়েছেন- "তোমরা কি ধারণা করে নিয়েছ যে, আমি তোমাদের নিষ্ফল পয়দা করেছি এবং তোমাদেরকে আমার দিকে ফিরিয়ে আনা হবে না?"- মু'মেনুন-১১৫।

পবিত্র কোরআনের এ বাণীর উপর ভিত্তি করেই আমাদের পথ চলা উচিত। দুনিয়াতে যে যতই বাহাদুরী করুক আখিরাতে তাকে ধরা দিতেই হবে। দুনিয়ার জীবন হল গড়ার আর আখিরাতের জীবন হলো ভোগ করার। আখিরাতে সুখ পেতে হলে অবশ্যই বেঁচে থাকাকালীন আমাদেরকে ইসলামের বিধি নিষেধ মোতাবেক কাজ করে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে মুত্যুই হল অনন্ত সময়ের সেই জীবন গড়ার সময়সীমা। মৃত্যুকেই জীবনের শেষ ভাবলে চলবে না। সৃত্যু মানুষের জীবনের একটা পরিবর্তন মাত্র। প্রাণবন্ত থেকে প্রাণহীন অবস্থায় রূপ দিয়ে অন্য জীবনে প্রবেশ করায়। এটাই হলো মৃত্যুর কাজ। মৃত্যুকে পরকালে প্রবেশের একটা দরজাও বলা যায়।

আখিরাত বা পরকাল বিষয়টা যেহেতু ধর্মীয়ভাবে এসেছে সেহেতু হাদীস কোরআনের আলোকে আখিরাতের অহরহ প্রমাণ দেওয়া যাবে। এ বিষয়ে প্রমাণের কোনো অভাব হবে না। কিন্তু যারা ধর্মীয় গ্রন্থে বিশ্বাসী নয় তাদেরকে কীভাবে বিশ্বাস করানো করানো যাবে যে, আখিরাত হবে কি না? বর্তমান যুগটা বেশিরভাগই বিজ্ঞান নির্ভর হয়ে পড়েছে। বৈজ্ঞানিক মতামতটাই তাদের কাছে সঠিক বলে মনে হয়। কোনো জিনিসের সত্যতা যাচাই করার জন্য বৈজ্ঞানিক তথ্যকেই যথাযোগ্য বলে মনে করে। এসব মানুষদের জন্য আমরা বৈজ্ঞানিক তথ্যের মাধ্যমেও এ কথা তুলে ধরতে পারি।

জনৈক বিজ্ঞানী পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবার পর তার মতামতা ব্যক্ত করেছেন, মানব দেহ বিশেষ ধরনের কতেক উপাদানে গঠিত। সেগুলোর সমষ্টির একককে কোষ বলে। মানুব দেহের এই কোষ পরিবর্তনশীল। কয়েক বছর পর পর এই কোষ পরিবর্তন হয় কিন্তু তাতে জীবন শেষ হয়ে যায় না। বরং আলাদাভাবে শুরু হয়। যখন মৃত্যু হয় তখনও একইভাবে কোষ পরিবর্তন হয়। আগের পরিবর্তনে যদি জীবনের শেষ না হয় তবে এ পরিবর্তনেও কি করে বিশ্বাস করব যে, এতে মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাবে?

এছাড়া আরেক গবেষণাতেও এ ধরনের প্রমান মেলে। ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডে 'সোসাইটি ফর সাইকিকেল রিসার্চ' নামে একাধিক বিজ্ঞানীর সমন্বয়ে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংস্থা স্থাপন করা হয়। এই সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল, সাক্ষ্য প্রমাণের কঠোরতর পদ্ধতি সমূহ প্রয়োগ করে বিভিন্ন ঘটনাবলীর তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো সম্বন্ধে সঠিক সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়া। এই সংস্থা তৈরির পর পরই নরওয়ে, পোল্যান্ড, প্যারিসসহ বিভিন্ন দেশে আরো সংস্থা গড়ে ওঠে। একযোগে তারা বিজ্ঞান গবেষণা করতে থাকে এবং আজো পর্যন্ত তা অব্যাহত রেখেছে। এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন নিদর্শন ও অভিজ্ঞতার দ্বারা প্রমাণ করেছে যে, মৃত্যুর পরও মানব জীবন কোনো রহস্যপূর্ণ আকৃতিতে অবশিষ্ট থাকে।

এসব মতামতের ভিত্তিতে আমরা বুঝতে পারি যে, মৃত্যুই মানুষের জীবনের শেষ নয়, বরং স্পষ্ট হয় যে, তার জন্য কিছু একটা অপেপেক্ষা করছে এবং সেটা হল আখিরাত জীবন।

কোরআনের বর্ণনা মতে দুনিয়া ধ্বংসের পর আখিরাত শুরু হবে। এ দুনিয়া ধ্বংস হওয়া সম্পর্কে একজন ভূতত্ত্ববিদ বলেছেন- "আমাদের কোলাহলপূর্ণ ও জনাকীর্ণ শহরগুলো এবং নীল সমুদ্রের নীচে একটি কুদরতী জাহান্নাম প্রজ্জ্বলিত রয়েছে। এক একথায় আমরা বিরাট একটি ডিনামাউট এর উপর দাঁড়িয়ে আছি, যা যে কোনো মুহূর্তে বিস্ফোরিত হয়ে সমগ্র ভূ-ব্যবস্থা ওলট-পালট করে দিতে পারে।"

এরপরও আমরা কিসের আশায় পরকালীন জীবনের কথা না ভেবে এই জীবনকে আকড়ে ধরে থাকবো? পরকালীন জীবন সম্পর্কে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক সি.জে. ডুক্যাস এর মতামতও উপস্থাপনযোগ্য। তিনি ধর্মীয়ভাবে পরকাল বিশ্বাস না করে বৈজ্ঞানিক তথ্যাবলীর ভিত্তিতেই মরণোত্তর জীবন বা পরকাল বিশ্বাস করেন বলে তার এক গ্রন্থে ব্যক্ত করেছেন।

যদিও কোরআনের (বিজ্ঞানেরও) প্রমাণের পর আখিরাত অবিশ্বাসের কোনো যুক্তি নেই, তবু অনেকে দ্বিধা দন্দের মধ্যেই আছে। আর সে জন্যই হয়তো ইসলাম বিরোধী কাজে লিপ্ত হচ্ছে।

আমাদের সবারই পরকালের বা আখিরাতের কথা চিন্তা করা উচিত। আমরা এখন যা করছি তা সবই জীবিকার প্রয়োজনে। একটুখানি চিন্তা করলে বোঝা আমরা সারাদিন শারীরিক, মানসিক পরিশ্রম করে যা কিছু করছি তার কার্যকারিতা দুনিয়াতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আমাদের মেধা, শ্রম কিছুই পরকালীন কাজে লাগাতে পারছি না। আমাদের ভাবা উচিত আখিরাতের জীবনের জন্য, এই জীবনে সজাগ হয়ে চলা অতি জরুরী। সেখানে আমরা সুখ পাব কি না সেটা নির্ভর করবে আমাদের পার্থিব জীবনের উপর।

আমাদের মস্তিস্কের ক্ষমতা একটু বাড়ালেই আমরা বুঝতে পারবো, দুনিয়ার এই ছোট্ট জীবনের জন্য অবিশ্রান্ত শ্রম দেওয়া উচিত নাকি সেই অনন্ত কালের জীবনের জন্য শ্রম দেওয়া উচিত। নিজেদের ইচ্ছামত চললে হয়তো দুনিয়াতে সুখে থাকা যাবে কিন্তু আখিরাতে নয়। কারণ এই কাজের ফল আখিরাতে পাওয়া যাবে না। আমাদের বুঝতে হবে মৃত্যুতে যদি এ জীবনের শেষ না হয় তাহলে মৃত্যুতে এ জীবনের কর্মফল শেষ হয়ে গেলে আমাদের জন্য একটা মহাবিপদ অপেক্ষা করছে।

যারা ভুল মতবাদে আটকে গেছে তাদের মত আমরাও যদি ভুল ভাবতে শুরু করি তাহলে আমাদের কর্মও দুনিয়ামুখী হয়ে যাবে। সে জন্য সবার আগে বিশ্বাসটাকে মজবুত করে নিতে হবে। সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা যা করব তা ইহকাল ও পরকালের সুখের জন্য করব। আর তাই ঈমানদীপ্ত মন নিয়ে সত্যের সন্ধানে ব্রতী হতে হবে। নিঃশ্বাস কখন বন্ধ হয়ে যাবে তার কিছুই বলা যাবে না। আর নিঃশ্বাস বন্ধ হলে অর্থাৎ দম ফুরালে আখিরাতকে সুখময় করে গড়ার সুযোগ শেষ হয়ে যাবে। তাই আসুন আমরা আলস্নাহ ও রাসূল (স.) এর আনুগত্য স্বীকার করি। ঈমানকে দৃঢ় করে, নিয়তকে ঠিক করে ইসলামের পথে চলি ততদিন; যতদিন পর্যন্ত আমাদের দম না ফুরায়।
(লেখাটি ২০০৪ সালে প্রকাশিত)
# # #